বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে ভারতে পলাতক পি কে হালদার ও তাঁর দুই সহযোগী অবশেষে জামিন পেলেন। আজ শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) কলকাতার নগর ও দায়রা আদালতের সিবিআই বিশেষ কোর্টের বিচারক তাঁদের ১০ লাঁখ টাকার বন্ডের বিনিময়ে জামিন মঞ্জুর করেন।
ইডির (প্রবেশন পরিদপ্তর) আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী বলেন, বাংলাদেশে পি কে হালদার দণ্ডপ্রাপ্ত হলেও সংশ্লিষ্ট নথিপত্র আদালতে উপস্থাপন করতে না পারার কারণে বিচারক তাঁকে জামিন মঞ্জুর করেন।
পি কে হালদারের আইনজীবী বিশ্বজিৎ মান্না আদালতে যুক্তি দেন, তাঁর মক্কেল ইতিমধ্যে সাজার এক-তৃতীয়াংশ সময় কারাগারে কাটিয়েছেন, যা ভারতের আইনি কাঠামো অনুযায়ী জামিন পাওয়ার যথেষ্ট কারণ।
পি কে হালদার ছাড়াও তাঁর দুই ভাগনে স্বপন মিস্ত্রি ও উত্তম মিস্ত্রিও জামিন পেয়েছেন। এর আগে কলকাতা হাইকোর্ট থেকে তাঁর আরও দুই সহযোগী ইমন হালদার ও সরমি হালদার জামিন পেয়েছিলেন।
২০২২ সালের ১৩ মে কলকাতার নিউটাউনের বৈদিক ভিলেজ এলাকা থেকে পি কে হালদারকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তী সময়ে অশোকনগর থেকে তাঁর ভাই প্রাণেশ হালদার, দুই ভাগনেসহ আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে পি কে হালদার প্রেসিডেন্সি সেন্ট্রাল জেলে ছিলেন।
পিকে হালদারসহ ২৩ জনের নামে দুদকের অভিযোগপত্র অনুমোদনপিকে হালদারসহ ২৩ জনের নামে দুদকের অভিযোগপত্র অনুমোদন ইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়, পি কে হালদার বাংলাদেশে সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় তাঁর জামিনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। তবে আইনজীবীদের মত অনুযায়ী, সাজার সময় পার হওয়ার যুক্তিতে তিনি ভারতের আইনের আওতায় জামিন পান।
পি কে হালদার এবং তাঁর সহযোগীদের গ্রেপ্তার থেকে জামিন প্রাপ্তি পর্যন্ত ঘটনাগুলো কলকাতা ও বাংলাদেশের আইনি পরিমণ্ডলে আলোচিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।